Home
“আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে”
পৃথিবীতে কাজে বড় হওয়া মানুষের সংখ্যা খুবই কম। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবুর রহমানের সাহসী নেতৃত্বে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই স্বাধীনতা। ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগ এবং বঙ্গবন্ধর দেশ ও দেশের মানুষের জন্য আত্মত্যাগের প্রধান লক্ষ্য ছিল সুশিক্ষিত, উন্নত, সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ার। আমাদের এই স্বাধীনতাকে বাস্তবে রূপ দেয়ার লক্ষ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোদ্ধা ছিলেন ঐতিহ্যবাহী নিমসার জুনাব আল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আলহাজ্ব জুনাব আলী সাহেব। মরহুম আলহাজ্ব জুনাব আলী সাহেব নিমসার এলাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে মানুষের মাঝে শিক্ষার আলো ছঢ়ানোর লক্ষ্যে স্কুর, কলেজ, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। শিক্ষাক্ষেত্রে তার এই অবদান গ্রণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে অর্জনে মুক্তিযোদ্ধের চেতনার স্বপক্ষে সকল সৃষ্টিশীল ও উন্নয়নমূলক কাজের স্বপ্নকে তরান্বিত করবে এবং এই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় প্রতিষ্ঠিত হবে।
১৯৭২ সালের প্রথম দিকের ঘটনা। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার অন্তর্গত মোকাম ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান এবং দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ্ব জুনাব আলী সাহেব এলাকার সুধী সমাজের অনুরোধে মাতৃভূমির বিস্তীর্ণ এক জনপদের দরিদ্র মানুষেদের সন্তান সন্ততির উচ্চ শিক্ষা লাভের পথ সুগম করার উদ্দেশ্যে নিমসার গ্রামে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ দান করার ঘোষণা প্রদান করেন। এলাকার বিদ্যোতসাহী জনগণ এ উদ্দেশ্যে আয়োজিত এক জনসমাবেশে প্রতিষ্ঠ্যব্য এ কলেজের নামকরণ করেন “নিমসার জুনাব আলী কলেজ“। এটি ছিল বুড়িচং থানায় প্রতিষ্ঠিত প্রথম কলেজ। ১৯৭২ সালের ১ জুলাই এ কলেজে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।
জনগণ কর্তৃক জুনাব আলী সাহেককে কলেজের প্রতিষ্ঠাতার মর্যাদা প্রদান কারয় এবং তার নামে কলেজের নামকরণ করায় এ ধর্ণাঢ্য শিল্পপতি অনুপ্রাণিত হয়ে অত্যন্ত সুন্দর, নতুন ও সর্বাধুনিক ৪ (চরটি) বাস ক্রয় করে ছাত্র-ছাত্রীদের কলেজে যাতায়তের জন্য প্রদান করেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ইলিয়েটগ্রঞ্জ এবং চট্টগ্রাম-সিলেট সহাসড়কের জাফরগঞ্জ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদের বহনকারী এ চারটি সর্বাধুনিক বাস, প্রতিষ্ঠার বছরেই নিমসার জুনাব আলী কলেজের পরিচিতি সমগ্র বাংলাদেশ বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিয়েছিল।
প্রতিষ্ঠালগ্নে কলেজের সুযোগ্য প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মো: সাদেকুর রহমান এর সুযোগ্য পরিচালনায় ও কলেজ প্রথম পরিচালনা পর্ষদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক জনাব হাফিজ উল্লাহ ভূঁইয়া (পোষ্ট মাষ্টার হিসেবে পরিচিত) সাহেবের কর্মততপরতায় এবং এলাকার বিদ্যোতসাহী সমাজের অকুণ্ঠ সহযোগীতায়, প্রতিষ্ঠার পর দু‘বছরের মধ্যে নিসমাস জুনাব আলী কলেজ দেশের একটি প্রথম শ্রেণির ডিগ্রি কলেজে উন্নীত হয় এবং ২০১৭-২০১৮ শিক্ষবর্ষ হতে ৭টি বিষয়ে অর্নাস কোর্স চালু করা হয়। সু-শিক্ষিত ও নিবেদিত প্রণ অধ্যাপক মন্ডলীর শিক্ষা দানের দক্ষতার ধারাবাহিক সাফল্যে বর্তমানে এ কলেজটি ঐতিহ্যবাহী একটি উচ্চ শিক্ষার পাদপীঠে পরিণত হয়েছে।
বর্তমানে কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, নবীণ ও প্রবীণ শিক্ষক মন্ডলী সমন্বয়ে বেশ কিছু ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, য়ার ফলে প্রতিষ্ঠানটি লেখাপড়া, নিয়ম-শৃঙ্খলা জলেজের শ্রীবৃদ্ধি তথা বার্সিক সমৃদ্ধি অর্জনে সাফল্যের পথে যাত্রা অব্যাহর রেখেছে।
বৃড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ার জননেতা মাননীয় এম. পি এডভোকেট আবুল হাসেম খাঁন, কালেজ পরিষদের সভাপতি, জনাব গোলাম ফারুক, বুড়িচং উপজেলার নির্ব হী অফিসার জনাব, হালিমা খাতুন, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জনাব, আখলাক হায়দার, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম বাচ্চু- এর সুদ্খস পরিচালনা ও যুগোপযোগী দিকনির্দেমনায় এ কলেজটি স্বল্প সময়ে উন্নতির শীর্ষে আরোহন করতে সক্ষম হবে বলে সকলে বিশ্বাস করেন। আদর্শ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী আলোকিত মানুষ হতে চান তাদের জন্য নিমসার জুনাব আলী কলেজ একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান